Friday, January 25, 2013

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এক সন্ধ্যা


              আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এক সন্ধ্যা

এ বছরের বানিজ্য মেলায় যাওয়ার ইচ্ছা বেশ কয়েক দিন যাবত হলেও সময়ের সিংক্ষিপ্ততা ও ব্যস্ততার জন্য বেশ কয়েক বার যাবো যাবো বললেও যাওয়া হলো না। অবশেষে গত কাল কোন প্ল্যান ছাড়াই রওযানা হই। বাসা থেকে বের হয়ে বন্ধু সফিক ও রাজিবকে ফোন দেওয়া মাত্রই তারা রাজি হয়ে যায়। আমি তো তাদের পেয়ে মহা খুশি। সফিক আসার সময় তার বন্ধু ফেরদাউসকে নিয়ে আসে। তাকে দেখে আমার মন আরো উল্লোসিত হয়ে উঠে। কারন আমাদের সবার চেয়ে সেই বেশি পরিমান Extrovert। সবাই একত্রে যাত্রা করলাম মতিঝিল থেকে বিকল্প বাসে ছড়ে। শুক্রবার হওয়াতে রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা ছিল। যাইহোক বেশ অল্প সময়েই মেলার গেইটে পৌঁছে যাই।

Friday, January 18, 2013

স্বপ্ন নয়তো!

 স্বপ্ন নয়তো! 
 মাহবুব আলম মুরাদ 


রাত প্রায় ১০ টা ৩০ মিনিট সারা দিন কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে ক্লান্তি দূর করতে নেটে বসে শুভ তার দেওয়া পোস্টগুলো দেখছে হঠাত কম্পন দিয়ে মোবাইলটা বেঝে উঠে বিরক্তিভাবে রিসিভ করতে গিয়ে ভাবির ফোন দেখে অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে তা রিসিভ করতেই ভাবি বলে উঠে, তার ভাইয়ার অবস্থা নাকি আগের চেয়ে একটু অবনতি হয়েছে একথা শুনতে না শুনতেই শুভ লাফ দিয়ে উঠে যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় দ্রুত ভার্সিটির ব্যাগটা পিঠে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রাত ক্রমে গভীর হতে থাকে; রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাকা

ভিন্ন রকম প্রেম

ভিন্ন রকম প্রেম

মাহবুব আলম মুরাদ 

দেখতে দেখতে সাইফের জীবনস্রোত আরেকটি সময়স্রোতে প্রবেশ করল, অর্থাৎ, সে তার জীবন থেকে আরেকটি বছর বিভিন্ন কর্মব্যস্থতার মধ্য দিয়ে উপভোগ করে নিল। তার এই নতুন বছরের বাতায়নে উঁকি দিল প্রভাতের নতুন সূর্য্য। যার রাংগা আলোয় সে পা রাখলো জীবনের নতুন আরেকটি বছরে। সে এই বছরটাকেও পরম ব্যস্ততার মাঝে অর্থাৎ, পরম পড়ালেখার মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে চায়। কারন তাকে পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পেতেই হবে এবং ঢাকা ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হতেই হবে।

‘হারিয়ে গেল বুবু’

‘হারিয়ে গেল বুবু’

দিনটি ছিল শনি কি রবি বার সঠিক মনে আসছে না তবে এটা স্মরণ করতে পারি যে সেটা ছিল গ্রীষ্মকাল। চারদিকে ছিল প্রচুর গরম আর আমাদের বাড়ির উঠান ছিল ধান ভর্তি। সবাই ধান ঘরে তোলা নিয়ে খুবই ব্যস্ত ছিল। প্রতিদিনের মত আমরা দুজনে স্কুলে চলে গেলাম। সকাল থেকেই আকাশ ছিল অনেক রৌদাচ্ছন্ন, কিন্তু দুপুর একটা-র পর থেকেই ক্রমান্বয়ে তার মুখ ফুলে যায়, গোমরা হতে থাকে তার দৃষ্টি ভঙ্গি, শুরু হয়ে যায় মেঘ দের লুকোচুরি খেলা।

সুখ পাখি


সুখ পাখি


“মেঘ দেখে তোরা করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য্য হাঁসে”। এটা কেমন প্রভাব প্রবচন, কেমন কথা, কোন বাস্তবতা এর মাঝে লুকিয়ে আছে তা কখনো জানতাম না এবং জানার জন্য তেমন আগ্রহও কেন জানি তৈরী হয়নি। জীবনের গতি প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার পথে হঠাত কেন জানি বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

চল বৃষ্টি নামাই


চল বৃষ্টি নামাই



বহু দিন থেকেই স্বপ্ন দেখি এবং ভাবি দুজনে মিলে একটা বৃষ্টি নামাবো যে বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা হবে খুব মুল্যবান। এক একটা ফোঁটা মুছে নেবে এক একটা পাপ। ধুঁয়ে নেবে সমাজের সকল অপরাধ, অন্যায়, অত্যাচার। দূর করে দেবে ধনী দরিদ্রের সকল বৈষম্য। সবাই হয়ে যাবে কলুস মুক্ত।
সবাই সবার হাত ধরে ভিজবে বৃষ্টিতে। আমাদের প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় প্রধান মন্ত্রী ও কিন্তু এই বৃষ্টিতে ভেজা থেকে বিরত থাকবে না।

ধীক্কার

ধীক্কার 
মাহাবুব আলম মুরাদ 

মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেই কবিতা এখন একাদশ শ্রেনীতে উঠে গেছে। তারুন্যের ছোয়ায় মন বিষন উরু উরু হয়ে আছে। ইতোমধ্যে শারীরিকগত ভাবেও তার ভীষন পরিবর্তন ঘটেছে। এখন দেখলেই বোঝা যায় যে তার মাঝে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কচি কচি সেই ভাব তেমন একটা নেই বলেই চলে। তারুন্যের সাথে সাথে রুপের বাহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে আর সকলের দৃষ্টির রুপকর্না হচ্ছে। তাইতো কলেজের বালকদের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি লাভের আশায় তাকে ভর্তি করে দেয় মহিলা কলেজে। কিন্তু তবুও পথ-ঘাটে বখাটে ছেলেরা সর্বদা তার পথ চেয়ে থাকে।